খবরের বিস্তারিত...


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনঃ রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরী–অধ্যক্ষ ইব্রাহীম আখতারী

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্থাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো-করোনা অতিমারির অভিঘাত মোকাবিলার মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হেতু দেশের অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এহেন সংকটকালীন সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আবশ্যকীয়তা থাকলেও ভিন্ন চেহারায় দৃশ্যমান বাংলাদেশের রাজনীতি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বৃহৎ দু’টি রাজনৈতিক দল যথাক্রমে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পারস্পরিক রশি টানাটানিতে জনজীবনে এক বিষ্ফোরোন্মুখ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার পতনের লক্ষ্যে গত কয়েক মাস যাবত বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করে আসছে। যেথায় বড় কোন সহিংসতা নজরে পড়েনি বরং শান্তিপূর্ণ পরিবেশই বজায় ছিল। তবে এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এর এক দফা দাবি নিয়েই এগুচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলি। যে ধারাবাহিকতায় বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে। আর যেথায় অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত- সহিংসতাও দৃশ্যমান হয়েছে। এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলায় ১জন নিহত এবং হাজারের অধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবী করে বিএনপি। এমনকি দেশের ৮টি জেলায় তাদের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছে মর্মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে জানানো হয়। নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার উদগ্র বাসনা জেগেছে বিধায় সরকার পরিকল্পিতভাবে সহিংস হয়ে উঠছে বলে এমনটিও দাবি করে দলটি। শুধু তাই নয়- এক্ষেত্রে পুলিশ সরকারের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছে, সরকার বিবিধ নিবর্তনমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচার ও আইন বিভাগ করায়ত্ব করেছে, বিভিন্ন জেলায় তাদের যেসব নেতা-কর্মী আহত হয়েছে তাদের আসামি করে মামলা দায়ের করছে, পুলিশ ক্ষমতাসীনদের নেতা-কর্মীর নিরাপত্তা বিধান করলেও বিরোধী পক্ষের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উদাসীন বলেও অভিযোগ তুলে বিএনপি। যা আশরাফুল আলম (হিরু আলম) এর উপর ন্যাক্কারজনক হামলার মাধ্যমেই তা প্রতীয়মান হয় বলে উল্লেখ করে। উপরন্তু একাধিক জায়গায় আওয়ামী লীগের ‘শান্তি’শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকেই এহেন অবাঞ্ছিত সংঘাত-সহিংসতার নেপথ্য কুশীলব বলে দাবি করা হয়। কেননা পদযাত্রার নামে বিএনপি পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে, হাসপাতাল-ব্যাংক ভাঙচুর করেছে, যানবাহন নষ্ট করে এসবের দায়ভার আওয়ামী লীগের উপর চেপে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয় ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে। অপরদিকে বিএনপির বিপরীতে এক দফা ঘোষনা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন আয়োজন। এছাড়া রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে এক নেতা কর্তৃক শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর মতো বক্তব্যকে হত্যার হুমকি বলে মন্তব্য করে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শান্তি সমাবেশ এর পরিবর্তে বিএনপিকে প্রতিরোধের ঘোষনাও দেয়। যাইহোক, ইতোপূর্বে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীনদের অধীনে কোন অবস্থাতেই নির্বাচনে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এক দফা নিয়েই মাঠে থাকবে। এক্ষেত্রে যা করার তা-ই করবে। অপরদিকে এটির বিপরীতে আওয়ামীলীগও পাল্টা কর্মসূচি চলমান রেখেছে। সুতরাং দু’পক্ষের এহেন পাল্টাপাল্টি অবস্থান ক্রমাগত রাজনৈতিক ময়দান আরও অধিকতর তেঁতে উঠবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। এমতাবস্থায় হামলা-সংঘর্ষ এড়ানো কঠিনসাধ্য হয়ে পড়বে। কেননা এক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধীপক্ষ উভয়ই স্ব স্ব অবস্থানে অনড়-অবিচল রয়েছে। কোন পক্ষই নিজেদের নিবৃত্ত করবে বলে মনে হয় না। উপরন্তু বৃহৎ এ দু’দলের মধ্যে কোন আপস- মীমাংসার সম্ভাবনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরঞ্চ ভবিষ্যত দিনগুলোতে সংঘাত- সহিংসতা অধিকতর ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলছে। আর এমনটি অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে কঠোর হতে পারে। পাশাপাশি বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষও শক্তভাবে পাল্টা অবস্থান নিতে পারে। তখন অনিবার্যভাবে রাজনৈতিক অঙ্গন সংঘাতময় হয়ে উঠবে বলে মনে করেন বিদগ্ধ মহল। উল্লেখ্য যে, রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে পশ্চিমা কুটনীতিকদের আশ্বস্ত করার পরও সংঘাত- সহিংসতাকেই ক্ষমতা মাড়ানোর উপায় মনে করছে পক্ষদ্বয়। এটি কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয় যে, আসন্ন এ নির্বাচন নিয়ে কেবলই দেশের অভ্যন্তরে নয়, বরং তামাম বিশ্বও তাকিয়ে রয়েছে অধীর আগ্রহে। বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ের উপর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিবৃন্দের সফর, মার্কিন রাষ্ট্রদূত কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক ও মার্কিন ভিসানীতি ইত্যাকার বিষয়াদি থেকে যা সহজেই অনুমেয়। যেজন্য সদ্য সমাপ্ত ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলাজনিত বিষয় নিয়ে জাতিসংঘ, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও ১২টি দেশের হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের প্রতিক্রিয়াও জানান। অপরদিকে বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পূর্ব থেকেই নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র‍্যাব এবং তাদের ৭জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। উপরন্তু মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপর্যুপরি বাংলাদেশ সফরে এসে বরাবরই একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। একই আহ্বানও এসেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার ‘সারাহ কুক’ থেকেও। এছাড়া গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যাতে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও কথাবার্তা বলছেন
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিবিধ উন্নয়ন সহযোগী দেশসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এমনকি তারা দীর্ঘ দিন থেকে বৃহত্তম এ দু’টি দল ছাড়াও ছোট-বড় অপরাপর দলসমূহের সাথেও বৈঠক করছেন। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা পরবর্তী এযাবতকালের সকল জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দৃশ্যমান হয় উত্তেজনা ও পক্ষ-বিপক্ষের বহুমাত্রিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। পরিলক্ষিত হয় পাশ্চাত্যের দেশসমূহের রকমারি কূটকৌশল। এবারকার নির্বাচন নিয়েও এসবের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। বরঞ্চ অতীতের চেয়ে এবার অপেক্ষাকৃত অধিক। সাম্প্রতিক সময়ে এসব দেশের কুটনৈতিকদের দৌড়ঝাঁপ অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো- বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্ধ শতাব্দী অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দেশটি নিজস্ব সমস্যা সমাধানে পারঙ্গম নয়। চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে থাকে বিদেশিদের দিকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার বাইরে থাকাকালে এসব দেশের দূতাবাসসমূহতে ধর্না দেয়। একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। এদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি মনে করে। জলাঞ্জলি দেয় দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থ। আর তারাও এদেশের অভ্যন্তরীন বিবিধ বিষয়ে অনায়াসে হস্তক্ষেপ করে। এমনকি এরই সুবাদে তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারেও কুণ্ঠিত হয়না।
বাংলাদেশ এর অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে তাদের এহেন ইন্টারপিয়ারেন্স আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলেও রীতিমতো এনজয় করছে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। আর এক্ষেত্রে সোচ্চার প্রতিবাদ করারও কারও নৈতিক সক্ষমতা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর লবিং-তদবির এবং তার পেছনে অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত সংসদ অধিবেশনে তর্ক-বিতর্ক হতেও দেখা গেছে। রাজনীতিতে এ অযাচিত বিষয়টি প্রায় সকল দলেরই রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যা রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আস্থাহীনতাকেই দুষছে রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কেউ এ দুষ্ট বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। যা সচরাচর অন্য কোন দেশে তেমন দৃশ্যমান হয়না। যাইহোক, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে বিদেশিদের চাপ থাকলেও কোন্ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে সে বিষয়ে তাদের নির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হলেও সরকারকে আস্থায় নিতে পারছে না বিরোধী পক্ষ। এমনিতর পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে বরাবরই শংকা থেকেই যাচ্ছে। সুতরাং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে যদি কোনরূপ আপসরফা না হয়, তাহলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হওয়াটা নিতান্ত স্বাভাবিক। আর এমনটি হলে অসাংবিধানিক পন্থায় ৩য় অশুভ শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। যা কারও জন্য শুভ ফলদায়ক হবে না। উপরন্তু এতে বিপন্ন হবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশমান ধারা। অতীব দূঃখজনক হলেও সত্য যে, রাজনৈতিক দলসমূহ সমঝোতার পথ পরিহার করে সহিংস পরিস্থিতিকে হাতছানি দিচ্ছে। অথচ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই যে কোন অস্বাভাবিকতাকে জয় করা যায়। এ কথা অস্বীকার করার কোন জো নেই যে, রাজনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে জনকল্যাণ। আর যেথায় থাকবে দেশ- জাতির প্রতি দরদ- মমত্ববোধ তথা দায়বদ্ধতা। অথচ বাংলাদেশের রাজনীতিতে তা ব্যতিক্রমই পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতাসীন হয়, তখন তারা হিটলার, সালাজার, ফ্রাংকো ও মুসোলিনির মতো ডিক্টেটররূপে আবির্ভূত হয়। এ কথা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মধ্যকার আদর্শিক তেমন কোন তফাত নেই। বরঞ্চ খুবই দূঃখজনকভাবে দৃশ্যমান হয় কারও ক্ষমতায় টিকে থাকা, আবার কারও ক্ষমতা মাড়ানোর নগ্ন উল্লম্ফন। যৎকারণে সর্বত্র গড়ে উঠে এক শ্রেণীর লুটেরা ও প্রতারকচক্র। যারা জনগণের প্রতি প্রদত্ত কমিটমেন্ট বেমালুম ভুলে যায়। আর কেবলই অর্থ-বিত্ত অর্জনের নেশায় বুদ হয়ে থাকে। যেজন্য রাজনীতির প্রতি মানুষ এখন বীতশ্রদ্ধ। কেননা রাজনীতিতে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা, হিংসা-প্রতিহিংসা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, ভোগবাদ ও সুবিধাবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া গণতন্ত্রের অনুষঙ্গ নয়। সুতরাং রাজনৈতিক দলসমূহকে গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনাসমৃদ্ধ হওয়া আবশ্যক। উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যকার সাপে-নেউলে সম্পর্ক হওয়ায় গণতন্ত্র ও উন্নয়ন হুমকির মুখে নিপতিত হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সুদীর্ঘ সময় ধরে দেশের এ বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যকার পারস্পরিক বৈরী সম্পর্ক দেশ পশ্চাৎমূখীতায় ধাবিত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলসমূহ যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে জনকল্যাণমূখী কাজে নিবিষ্ট হয়, তবে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পারদ অধিকতর উর্ধ্বমূখী হবে নিঃসন্দেহে। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে কোনরূপ সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কেবলই নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে তা নয়, বরং রাজনৈতিক অস্থিরতা হেতু দেশের আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। তাই এক্ষেত্রে গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দেয়া কোনক্রমেই সমীচীন হবে না। অতএব এসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বিবেচনা পূর্বক ইতিবাচক মনোবৃত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের পারস্পরিক সমঝোতায় আসা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

বিশিষ্ট কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সূত্র: ২৫ আগস্ট ২০২৩ ইং দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম।

[related_post themes="flat" id="2014"]